সোনালী অতীত
- রফিকুল আলম - ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন ২৭-০৪-২০২৪

আমি এখন বিশেষ চাহিদার মানুষ
হুইল চেয়ারের আরোহী
অখন্ড অবসরে সমাজ সংসারের বোঝা
স্মৃতির আলমারি খুলে
শুধু হাঁতড়িয়ে বেড়ায় সোনালী অতীত।
মনে পড়ে গেল বছর বিশেক আগে
ভরা বসন্ত বাতাসে
যুবা রক্তে যবে ভিতরে ভিতরে
আন্দোলন করছিল
এমনি এক ক্ষণে ওর সাথে দেখা।
তার চৌদ্দ পুরুষের তল্লা্টের
মেঠো পথ ধরে শম্ভুক গতিতে
হাঁটছিলাম দুজনে।
শরীর মন জুড়ে তখন ফাগুনের আগুন
যুবা রক্তের উন্মাদনায়
দূর্ঘটনার আশংকাতো থেকেই যায়
তবুও না, দূর্ঘটনা ঘটেনি কোন।
কম্পিত স্বরে বেআব্রু করলো
জাপানী তরমুজ ফালির মত চঞ্চুজোড়া।
বলেছিল সর্বাংসহা হয়ে
কল্যাণী প্রিয়া হবে, পার্বতী হবে।
আরো বলেছিল আমি অনিকেত হলেও
থাকবেনা না পাওয়ার কোন বেদনা।
থাকবেনা হিংসা, স্বার্থপরতা কিংবা পরশ্রীকাতরতা।
থাকবে শুধু অকৃত্রিম বিশ্বাসের ভালবাসা
আর ছাড়বেনা কোনদিন আমার দুটি হাত।
আজ আমি বিশেষ চাহিদার মানুষ
তার চৌদ্দ পুরুষের তল্লাটের
মেঠোপথ ধরে শম্ভুক গতিতেও
চলতে পারিনা আর।
ফাগুনের মজনু মলয়ে নেই উন্মাদনা।
আছে শুধু
পেছনে ফেলে আসা স্মৃতিগুলি
যা তাড়া করে ফেরে নিরন্তর
কোথায় আজ তার পার্বতী প্রেম?
কোথায় সর্বাংসহা?
সব বিশ্বাস ভেঙে আজ সে
অন্যের ঘরে সেঁজুতি জ্বেলে ছড়াচ্ছে আলো।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।